সদস্য হতে হলে কমপক্ষে ২(দুই) টি শেয়ার ক্রয় করতে হবে।
সদস্যপদ কমপক্ষে ২ বছর সকল লেনদেনসহ বহাল রেখে স্থগিত বা বাতিলের বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে যা নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
সদস্যপদ হস্তান্তরযোগ্য নয় কিন্তু শেয়ার হস্তান্তরযোগ্য হবে।
সদস্যপদে পরিবর্তন বা সংশোধন নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে।
সদস্যদের তথ্য গোপন রাখা হবে এবং তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করা হবে না।
সদস্যদের তথ্য হালনাগাদ রাখা সদস্যদের দায়িত্ব।
সদস্য ও শেয়ার রেফারেন্স ভাতা ১০০/= (মাত্র একশত) টাকা রেফারেন্সকারীকে প্রদান করা হইবে।
শেয়ার ও মাসিক জমা
প্রতি শেয়ারের দাম: ৳ ৫,০০০/- (মাত্র পাঁচ হাজার) টাকা (এককালীন)।
কোনো সদস্য সর্বোচ্চ মোট শেয়ারের ১০% এর বেশি শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন না, যাতে সমিতির মালিকানা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে।
মাসিক জমা: ৳ ২,০০০/-(মাত্র দুই হাজার) টাকা (চলমান), যা বছরান্তে আলোচনা সাপেক্ষে পরিবর্তন যোগ্য।
সদস্যদের মাসিক জমা প্রতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে।
মাসিক জমা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিলে পরবর্তী মাসে মাসিক জমার সাথে ৫০০/= (মাত্র পাঁচশত) টাকা জরিমানাসহ জমা দিতে হবে।
সদস্যদের অতিরিক্ত সঞ্চয় জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে যা পৃথক হিসাব রেকর্ড করা হবে।
শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সমিতিকে ২(দুই) মাস আগে অবগতির মাধ্যমে অন্য সদস্যদের হস্তান্তর করা যাবে কিন্তু সমিতিকে মূল শেয়ার এর ৫% স্থানান্তর ফি প্ৰদান করতে হবে।
স্থানান্তরের পর নতুন শেয়ারধারী সদস্যের নামে পাসবুক ও রেকর্ড সংশোধন করতে হবে।
মূলধন
সমিতির মোট মূলধন নিম্নোক্ত উৎস থেকে সংগৃহীত হবে —
সদস্যদের শেয়ার মূলধন।
সদস্যদের সঞ্চয় আমানত।
রিজার্ভ তহবিল।
লাভের অবশিষ্ট পুনঃবিনিয়োগ।
দান, অনুদান বা সরকারি সহায়তা (যদি থাকে)।
মূলধন শুধুমাত্র সমিতির আর্থিক কার্যক্রম, ঋণ বিতরণ, সম্পদ ক্রয় এবং বিনিয়োগে ব্যবহার করা যাবে।
মূলধন কোন ব্যক্তিগত কাজে বা অ-সদস্যকে ঋণ দিতে ব্যবহার করা যাবে না।
রিজার্ভ তহবিল ও শেয়ারের উপর লাভ/ক্ষতি
প্রতি বছর লাভের কমপক্ষে ১০% শিক্ষা তহবিল, ১০% রিজার্ভ তহবিল ও ১০% উন্নয়ন তহবিলে জমা রাখতে হবে এবং সমিতির ব্যয় বাদ দিয়ে অবশিষ্ট লাভের সর্বোচ্চ ৭০% সদস্যদের মধ্যে শেয়ার অনুযায়ী বণ্টন করা হবে।।
রিজার্ভ তহবিল শুধুমাত্র ক্ষতি পূরণ বা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে।
রিজার্ভ তহবিলের টাকা আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে।
প্রতি অর্থবছর শেষে নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর সদস্যদের শেয়ার অনুযায়ী লাভ/ক্ষতি বণ্টন করা হবে।
শেয়ারের উপর আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শতকরা হারে লাভ/ক্ষতি দেওয়া হবে।
লাভ/ক্ষতি নগদ বা হিসাবের মাধ্যমে সদস্যদের পাসবুকে জমা দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত বিনিয়োগ
নির্বাহী কমিটি সমিতির উন্নয়নের জন্য সদস্যদের কাছ থেকে ঐচ্ছিক বিনিয়োগ বা বিশেষ শেয়ার ফান্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
এ ধরনের বিনিয়োগে সার্ভিস চার্জ বা লাভ/ক্ষতি প্রদানের হার সাধারণ শেয়ার থেকে আলাদা হতে পারে, যা নির্বাহী কমিটি নির্ধারণ করবে।
ঋণ প্রদান
সদস্যরা তাদের সঞ্চয় ও শেয়ারের ভিত্তিতে ঋণ আবেদন করতে পারবেন।
খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে সমিতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঋণ আবেদন ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া নির্বাহী কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
ঋণ পরিশোধের জন্য মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করা হবে যা ঋণগ্রহীতার আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী হবে।
ঋণ পরিশোধে বিলম্ব হলে নির্ধারিত জরিমানা ধার্য করা হবে।
ঋণ পরিশোধের জন্য সদস্যদের ব্যাংক ড্রাফট বা চেক গ্রহণযোগ্য হবে।
ঋণ পরিশোধের জন্য সদস্যদের স্বাক্ষরিত গ্যারান্টি ফর্ম জমা দিতে হবে।
সভা
সমিতির সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা হবে বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM)।
নির্বাহী কমিটি বা সদস্যদের নির্দিষ্ট অনুপাত (নির্বাহী কমিটি দ্বারা নির্ধারিত) দ্বারা আহ্বান করা যাবে বিশেষ সাধারণ সভা (EGM)।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাত (নির্বাহী কমিটি দ্বারা নির্ধারিত) কোরাম হিসেবে গণ্য হবে।।
সভায় সদস্যরা তাদের শেয়ার ও জমার ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাধারণত সরল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে।
উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতা কমিটি
সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
নতুন সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করা ও নীতি অনুসরণে সহায়তা করা।
সমিতির আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা।
বিভিন্ন রকম উন্নয়নশীল বিনিয়োগে এবং সমিতির সম্পদ সুরক্ষিত রাখা এবং সঠিক ব্যবহারে নজরদারি করা।
অন্য সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় আচরণ প্রদর্শন করা।
নির্বাহী কমিটি
সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
নির্বাহী কমিটি সদস্য সংখ্যা হবে ৬, ৯ ও ১২ জন, যা মেয়াদান্তে সাধারণ সভায় স্বাধীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।
নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও অন্যান্য পদ থাকবে।
নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মেয়াদ হবে ২ (বা ৩) বছর।
নির্বাহী কমিটি সদস্যদের মধ্যে পদোন্নতি বা পরিবর্তন করা যাবে বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে।
হিসাব ও নিরীক্ষা
সমিতির আর্থিক হিসাব পদ্ধতি হবে বাংলাদেশ সমবায় আইন এবং সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলী অনুযায়ী।
সমিতির হিসাব বছরের শেষ হবে ৩০শে জুন।
বার্ষিক সাধারণ সভার পূর্বে সমিতির হিসাব নিরীক্ষা করানো হবে।
নির্বাহী কমিটি একটি বা একাধিক নিরীক্ষক নিয়োগ করতে পারবে যাদের যোগ্যতা সমবায় আইন অনুযায়ী হবে।
প্রতিটি সদস্যের শেয়ার, আমানত, লাভ ও লেনদেনের তথ্য সফটওয়্যারে ও পাসবুকে সংরিক্ষত করতে হবে।
সমস্ত শেয়ার লেনদেন অবশ্যই হিসাব অফিসার ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদিত হবে।
প্রতিবার লেনদেন করার পর সিস্টেম জেনারেটেড কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত মানি রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে, যা সদস্যদের হিসাব নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রে এটাই হবে মূল কাগজ
সদস্যপদ বাতিল
সমিতির নিয়মাবলী লঙ্ঘন করে বা সমিতির ক্ষতি করে তবে তার সদস্যপদ বাতিল করা যেতে পারে।
মাসিক জমা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দেয় এবং ৩ মাসের বেশি সময় ধরে বকেয়া থাকে।
ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ না করে।
সমিতির উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।
সমিতির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে।
সমিতির বিরুদ্ধে মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য প্রচার করে।
সমিতির অন্য সদস্যদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে এবং সমিতির শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করে।
সমিতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আইনগত ভিত্তি
এই সমিতি বাংলাদেশ সমবায় আইন, ২০০১ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
সমিতির কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।
বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের আদালত প্রাধান্য পাবে।
সমিতির সকল নিয়মাবলী পরিমার্জন, পরিবর্তন বা সংশোধন উদ্যোক্তা কমিটি ও নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে হবে।